Skip to main content

Posts

প্লাস্টিক দূষণঃ এক প্লাস্টিকময় পৃথিবীর গল্প

 কাহিনীটা গ্রীক মিথোলজি থেকে নেয়া। যখন দেবতারা রাজা মিডাসকে যেকোন একটি ইচ্ছেপূরনের বর দিলেন, সে প্রার্থনা করল যাতে সে যা কিছু স্পর্শ করবে তাই যেন সোনা(স্বর্ণ) হয়ে যায়। তার ইচ্ছেপূরণ হল, রাজা তো খুশিতে আটখানা।  সে যা কিছু স্পর্শ করে, সব স্বর্ণের হয়ে যায় — গাছ, পাথর, বাড়িঘর সবই সোনার, এবার তাকে আর পায় কে? হাতের নাগালে যা কিছু পেলেন, স্পর্শ করেই সোনায় বদলে দিতে লাগলেন দুনিয়ার সব থেকে ধনী কিং মিডাস। কিন্তু কিছুক্ষণ পর রক্ত হিম করা আতঙ্কের সাথে রাজা আবিষ্কার করলেন, তার পানীয়, বিছানা, সিংহাসন, এমনকি খাবারদাবারও সব স্বর্ণে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। খুব দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে রাজা তার ফুলের মত কোমল, ছোট্ট ফুটফুটে বাচ্চাটিকে বুকে জড়িয়ে ধরে নিজের কষ্ট কমাতে চাইলেন।  কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি তার ভুল বুঝতে পারলেন, আর নিজের আলিঙ্গন থেকে সরিয়ে নিলেন তার মেয়েকে, পাছে তারও কোন ক্ষতি না হয়ে যায়। কিন্তু হায়, ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গেছে।  প্রায় বিস্ফোরিত চোখে রাজা দেখলেন, তার ফুটফুটে মেয়েটার কোমল শরীর পরিণত হয়েছে কঠিন স্বর্ণে! ছোট্ট শরীরটা থেকে বেড়িয়ে গেছে প্রাণ, আর তার হাতে পড়ে ...

দুধ না খেলে, আসলেই কি হবে না ভালো ছেলে?

দুধ কি আসলেই আমাদের আদর্শ খাদ্য, নাকি স্রেফ  সাদা বিষ ? গত কয়েক দশকে দুধ একটা বিতর্কিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। কেউ কেউ বলে, দুধ একটা দরকারী পুষ্টিকর খাবার যা কিনা স্বাস্থ্যকর হাড়ের গঠনের জন্য অপরিহার্য। আবার আরেক দল বলে,  দুধ থেকে ক্যান্সার হতে পারে এবং এটা সম্ভবত আমাদের অকালমৃত্যুর একটা কারণ এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কোন দলের দাবী সঠিক? আর, আমরা দুধ কেনইবা পান করি? আসুন জেনে নেয়া যাক... দুধ হচ্ছে সব ধরনের স্তন্যপায়ী প্রানীর ন্যাচারাল ডায়েটের (খাবার) অংশ। জন্মের পর আমাদের প্রথম পুষ্টি আমরা দুধ থেকেই পেয়ে থাকি।  এই সময়ে আমাদের পরিপাক তন্ত্র ছোট আর দুর্বল থাকে। জটিল খাবার খেয়ে হজম করার মত অবস্থা আমাদের থাকে না। তখন মায়ের দুধ স্তন্যপায়ী প্রানীর শরীরের যাবতীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে থাকে। বেসিক্যালি, দুধ হচ্ছে একটা “পাওয়ার ফুড” যা কিনা আমাদের শরীরকে সচল হবার জন্য দরকারী শক্তি দেবার পাশাপাশি আমাদের দ্রুত বেড়ে উঠতেও সাহায্য করে। দুধের মধ্যে প্রচুর পরিমানে স্যাচুরেটেড ফ্যাট (Saturated Fat) , ভিটামিন, মিনারেল আর মিল্ক-স্যুগার রয়েছে, যার নাম ল্যাক্টোজ। এছাড়াও জন্মের পর কিছু সময়ের ...

চলে এসেছে স্বচ্ছ সৌর কোষঃ সাধারণ সোলার সেলের চেয়ে ১০০০ গুন বেশি কর্মক্ষম

বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেছেন প্রায় স্বচ্ছ এক বিশেষ ধরনের সৌর কোষ বা সোলার সেল। নতুন উদ্ভাবিত এই স্বচ্ছ সোলার সেল সূর্যের আলো থেকে শক্তি উৎপাদন করতে সাধারণ সোলার সেলের চেয়ে ১০০০ গুন বেশি দক্ষ।  গবেষকরা মনে করছেন, এই স্বচ্ছ সোলার সেল নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের ধারণাটাকেই বদলে দেবে, কারন এই সোলার সেল ব্যবহার করা যাবে জানালায়, গাড়িতে, এমনকি সব ধরনের যন্ত্রপাতিতেও।   চলুন জেনে আসি বিস্তারিত... নবায়নযোগ্য শক্তির তালিকায় সৌরশক্তির নামটা প্রথম দিকেই থাকবে, অথচ সাধারণ সোলার সেল তার আকার, দৃঢ়তা, আর অস্বচ্ছতার কারণে খুব বেশিদুর এগোতে পারে নি। এই সব বাধা বিপত্তির কারণে সৌরশক্তি এতোদিন ধরে আটকে ছিলো শুধুমাত্র বাড়ির ছাদে, কিংবা খোলা মাঠে। এই সব বাধা বাধা বিপত্তি অতিক্রম করতে বহুদিন ধরেই কাজ করে যাচ্ছিলেন অসংখ্য বিজ্ঞানী আর গবেষক। তারা চেষ্টা করছিলেন যাতে সহজে, কম খরচে একটা স্বচ্ছ সোলার সেল (Transparent Solar Cell) বা TSC তৈরি করা যায়। এটি করতে পারলে তারা অন্যান্য সব সারফেস থেকেও সৌরশক্তি সংগ্রহ করতে পারবেন। সম্প্রতি গবেষকেরা বেশ চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন এমন ধরনের TSC তৈরি করা সম্ভব হয়েছে যা ...

অন্তিমযাত্রার পথে নাসার ভয়েজার প্রোবঃ চিরবিদায়ের হাতছানি

১৯৭৭ সালের আগস্ট আর সেপ্টেম্বর মাসে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে মহাশুন্যের পথে তাদের অসীম যাত্রা শুরু করে নাসার ভয়েজার ১ আর ২ নামের দুটি স্পেস প্রোব। 🚀 তারা শুধু পৃথিবী নয়, আমাদের সুবিশাল সৌরজগৎ পেরিয়েও এগিয়ে গেছে আরো অনেক দূর। ভয়েজার ১ আর ২ এর মিশন শেষ হয়ে যাবে মাত্র ৫ বছরেই , শুরুতে এমনটা ধারণা করা হলেও দূরদর্শী বিজ্ঞানী আর ইঞ্জিনিয়ারদের প্রচেস্টায় আজ ৪৭ বছর পরেও সচল আছে প্রোব দুটি। কিন্তু সবকিছুরই শেষ আছে। আজ প্রায় অর্ধশতাব্দি পর আমরা জানতে পেরেছি ভয়েজার ১ আর ২ তাদের জীবনকালের প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আর কিছুদিন পরেই হয়তো মানব সভ্যতার এই অমূল্য নিদর্শন চিরতরে হারিয়ে যাবে মহাশূন্যের অতল গহবরে। কিভাবে? আসুন দেখে নেই।