Skip to main content

Posts

Showing posts with the label Technology

স্টেম সেল (Stem Cell) টেকনোলজিঃ ডায়াবেটিস চিকিৎসার নতুন দিগন্ত

অতি সম্প্রতি চীনের তিয়ানজিন ( Tianjin ) অঞ্চলে বসবাসকারী টাইপ-১ ডায়াবেটিসে (T1D) আক্রান্ত এক ২৫ বছর বয়স্ক যুবতীর শরীরে রিপ্রোগ্রামড স্টেম সেল থেরাপীর (Reprogrammed Cell Therapy) মাধ্যমে নতুন করে ইনসুলিনের উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে ইউরোপিয়ান মেডিক্যাল জার্নাল ( European Medical Journal -- EMJ ) , বিশ্বখ্যাত সায়েন্স জার্নাল ন্যাচার (Nature) , এবং সেল (Cell) ।  এর মাধ্যমে উন্মোচিত হয়েছে মেডিক্যাল সায়েন্সের এক নতুন দিগন্ত --- এমনটাই দাবী বিশেষজ্ঞদের।  রোগীর নিজের শরীরের ফ্যাট থেকে সংগ্রহ করা স্টেম সেল বিশেষ উপায়ে রিপ্রোগ্রাম করে পুনরায় তার তলপেটে স্থাপন করা হয়। গোটা দুনিয়াতে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি এই বিশেষ পদ্ধতিতে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাবার পথে আছেন।  এই বিশেষ রিপ্রোগ্রামিং পদ্ধতির উদ্ভাবক হলেন জাপানের কিয়োটো ইউনিভার্সিটির (Kyoto University) শিনইয়া ইয়ামানাকা (Shinya Yamanaka) । তিনি এই বিশেষ পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন প্রায় দুই দশক আগে।  তার এই পদ্ধতি মডিফাই করে সেটার ওপর প্রথম ট্রায়াল চালান বেইজিং এর পিকিং ইউনিভার্সিটির (Peking University) সেল বায়...

চাঁদে কি আসলেই মানুষ পৌছেছিল? চন্দ্র বিজয়ের প্রমাণ

 ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই মানব ইতিহাসের এক উজ্জ্বল মাইলফলক। এদিনে পৃথিবীর মানুষ প্রথম পা দেয় চাঁদের বুকে, আর সূচনা করে স্পেস এজ এর। যদিও এপোলো  ১১ মিশনের মূল উদ্দ্যেশ্য ছিলো তৎকালীন স্নায়ুযুদ্ধে (Cold War) প্রতিপক্ষ সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে টেক্কা দেয়া , কিন্তু এই ঘটনার মাধ্যমেই মানবজাতি সর্বপ্রথম পৃথিবীর গন্ডি পেরিয়ে মহাশূন্যের অসীম পথে যাত্রা শুরু করে। তবে বেশ বড় সংখ্যক মানুষের মনে এ নিয়ে সন্দেহ কাজ করে যে, মানুষ কি আসলে চাঁদে কখনো পা রেখেছে?  এই ডিজিটাল ইনফরমেশনের যুগেও চন্দ্রাভিযান নিয়ে রয়েছে নানা কন্সপিরেসি থিওরি। তাই আজ চলুন সমাধান করে আসি এই সমস্যাটির। খুঁজে বের করি মানুষ আসলেই চাঁদে গিয়েছিলো কি না। চন্দ্রাভিযান মিশনের বিস্তারিত বর্ণনায় আজ যাচ্ছিনা, সেটা নিয়ে অন্য একদিন কথা বলা যাবে। আজ আমরা মূলত দেখবো কি কি কারনে “চাঁদে কখনও মানুষ যায় নি” কিংবা “সব নাসার ভাওতাবাজি” বলা যুক্তিগুলো খাটে না। আমরা চাঁদে মানুষ যাবার কিছু প্রমাণও ঘুরে দেখবো। আশা করছি এতে সবার সন্দেহ দূর হবে।  তবে চলুন, শুরু করি আমাদের এডভেঞ্চার প্রথমেই আসি এপোলো  ১১ মিশনের রিসোর্স এ। এই মিশনে ব...

মানুষের ইচ্ছেতেই হবে এবার কৃত্রিম সূর্যগ্রহণঃ ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির নতুন মিশন

সম্প্রতি ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ESA) একজোড়া নভোযান রওনা দিয়েছে পৃথিবীর কক্ষপথের দিকে।  এদের মূল উদ্দ্যেশ্য সূর্যের করোনামণ্ডল (Corona) নিয়ে গবেষণা করা হলেও এদের ব্যবহার করা যাবে বিজ্ঞানীদের ইচ্ছেমত “সূর্যগ্রহণ” ঘটানোর কাজে।  এমনটাই জানিয়েছেন এই মিশনের গবেষক আন্দ্রেই জুকভ (Andrei Zhukov)। বর্তমানে আন্দ্রেই বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত রয়েল অবজারভেটরিতে সোলার ফিজিসিস্ট (Solar Physist) হিসেবে কর্মরত আছেন।  এই মিশনের নাম দেয়া হয়েছে Proba-3। বিজ্ঞানীদের নির্দেশে এই জোড়া নভোযানের একটি আরেকটির ওপর এমনভাবে অবস্থান করবে , যাতে করে সূর্য থেকে আসা আলো পুরোপুরি ঢেকে যায়। আর এভাবেই ঘটানো সম্ভব হবে মানব ইতিহাসের সর্বপ্রথম কৃত্রিম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।  তবে আপনি আমি পৃথিবীতে বসে এই সূর্যগ্রহণ দেখতে পাবো না এই কৃত্রিম সূর্যগ্রহণের ফলে বিজ্ঞানীরা তীব্র আলোর বাঁধা ছাড়াই সূর্যের করোনামণ্ডলের মাঝের অংশ নিয়ে গবেষণা করতে পারবেন। তারা আশা করছেন এর ফলে গবেষকেরা সূর্যের নানা অজানা আর চমকপ্রদ রহস্যের সমাধান করতে চলেছেন। এসব রহস্যের মধ্যে রয়েছেঃ  সোলার উইন্ড (Solar Wind) বা সৌর ...