কাহিনীটা গ্রীক মিথোলজি থেকে নেয়া। যখন দেবতারা রাজা মিডাসকে যেকোন একটি ইচ্ছেপূরনের বর দিলেন, সে প্রার্থনা করল যাতে সে যা কিছু স্পর্শ করবে তাই যেন সোনা(স্বর্ণ) হয়ে যায়। তার ইচ্ছেপূরণ হল, রাজা তো খুশিতে আটখানা। সে যা কিছু স্পর্শ করে, সব স্বর্ণের হয়ে যায় — গাছ, পাথর, বাড়িঘর সবই সোনার, এবার তাকে আর পায় কে? হাতের নাগালে যা কিছু পেলেন, স্পর্শ করেই সোনায় বদলে দিতে লাগলেন দুনিয়ার সব থেকে ধনী কিং মিডাস। কিন্তু কিছুক্ষণ পর রক্ত হিম করা আতঙ্কের সাথে রাজা আবিষ্কার করলেন, তার পানীয়, বিছানা, সিংহাসন, এমনকি খাবারদাবারও সব স্বর্ণে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। খুব দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে রাজা তার ফুলের মত কোমল, ছোট্ট ফুটফুটে বাচ্চাটিকে বুকে জড়িয়ে ধরে নিজের কষ্ট কমাতে চাইলেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি তার ভুল বুঝতে পারলেন, আর নিজের আলিঙ্গন থেকে সরিয়ে নিলেন তার মেয়েকে, পাছে তারও কোন ক্ষতি না হয়ে যায়। কিন্তু হায়, ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গেছে। প্রায় বিস্ফোরিত চোখে রাজা দেখলেন, তার ফুটফুটে মেয়েটার কোমল শরীর পরিণত হয়েছে কঠিন স্বর্ণে! ছোট্ট শরীরটা থেকে বেড়িয়ে গেছে প্রাণ, আর তার হাতে পড়ে ...
বিজ্ঞানের রহস্য অনুসন্ধানের বাংলা প্ল্যাটফর্ম