Skip to main content

Posts

স্টেম সেল (Stem Cell) টেকনোলজিঃ ডায়াবেটিস চিকিৎসার নতুন দিগন্ত

Recent posts

অতিরিক্ত জনসংখ্যাঃ জনবিস্ফোরণের কারণ, ফলাফল, এবং ভবিষ্যৎ

আমাদের মানুষদের সংখ্যা দিন দিন যেন আকাশ ছুঁতে চাইছে। ইতিহাসের কখনোই আমাদের পৃথিবীতে এখনকার মত এত মানুষ ছিলো না।  ১৮০০ সালে আমরা ছিলাম মাত্র ১ বিলিয়ন, ১৯৪০ সালে হয়ে দাঁড়ালাম ২.৪ বিলিয়ন, ১৯৭০ নাগাদ হলাম ৩.৭ বিলিয়ন আর ২০১৮ নাগাদ আমাদের সংখ্যা হল প্রায় ৮ বিলিয়ন।  ২০২৪ সালের শেষে এসে আমাদের পৃথিবীর বর্তমান জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮.২ বিলিয়নে।  অর্থাৎ, গত একশ বছরে আমাদের জনসংখ্যা বেড়েছে চারগুনেরও বেশি।  তাহলে সামনের ১০০ বছর পরে কি হবে?  আর জনসংখ্যার এই বিস্ফোরণের প্রভাব আমাদের ভবিষ্যতের ওপর কেমন হবে? আগামীতে কি উদ্বাস্তুর সংখ্যা কি অতিরিক্ত বেড়ে যাবে? মানুষকে বাধ্য হয়ে অন্য কোন অঞ্চলে পাড়ি দিতে হবে? শহরের বস্তিগুলোতে উপচে পড়া মানুষ থাকবে? শহরগুলো কি মহাদেশের মতই বড় হয়ে যাবে? রোগ-জীবানু ,দূষণ,শক্তি/পানি/খাবারের জন্য সন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলার মত সমস্যাগুলো ভয়াবহ আকার ধারন করবে? মানুষ কি শুধু নিজেদের বাঁচাতেই ব্যস্ত থাকবে? জনবিস্ফোরণ কি আমাদের জীবনযাত্রা ধ্বংস করে দিবে? নাকি এই সব ভবিষ্যৎবানী ভিত্তিহীন আশঙ্কা ছাড়া আর কিছুই না? চলুন দেখে নেই ১৯৬০ সালের দিকে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হা...

চাঁদে কি আসলেই মানুষ পৌছেছিল? চন্দ্র বিজয়ের প্রমাণ

 ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই মানব ইতিহাসের এক উজ্জ্বল মাইলফলক। এদিনে পৃথিবীর মানুষ প্রথম পা দেয় চাঁদের বুকে, আর সূচনা করে স্পেস এজ এর। যদিও এপোলো  ১১ মিশনের মূল উদ্দ্যেশ্য ছিলো তৎকালীন স্নায়ুযুদ্ধে (Cold War) প্রতিপক্ষ সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে টেক্কা দেয়া , কিন্তু এই ঘটনার মাধ্যমেই মানবজাতি সর্বপ্রথম পৃথিবীর গন্ডি পেরিয়ে মহাশূন্যের অসীম পথে যাত্রা শুরু করে। তবে বেশ বড় সংখ্যক মানুষের মনে এ নিয়ে সন্দেহ কাজ করে যে, মানুষ কি আসলে চাঁদে কখনো পা রেখেছে?  এই ডিজিটাল ইনফরমেশনের যুগেও চন্দ্রাভিযান নিয়ে রয়েছে নানা কন্সপিরেসি থিওরি। তাই আজ চলুন সমাধান করে আসি এই সমস্যাটির। খুঁজে বের করি মানুষ আসলেই চাঁদে গিয়েছিলো কি না। চন্দ্রাভিযান মিশনের বিস্তারিত বর্ণনায় আজ যাচ্ছিনা, সেটা নিয়ে অন্য একদিন কথা বলা যাবে। আজ আমরা মূলত দেখবো কি কি কারনে “চাঁদে কখনও মানুষ যায় নি” কিংবা “সব নাসার ভাওতাবাজি” বলা যুক্তিগুলো খাটে না। আমরা চাঁদে মানুষ যাবার কিছু প্রমাণও ঘুরে দেখবো। আশা করছি এতে সবার সন্দেহ দূর হবে।  তবে চলুন, শুরু করি আমাদের এডভেঞ্চার প্রথমেই আসি এপোলো  ১১ মিশনের রিসোর্স এ। এই মিশনে ব...

মানুষের ইচ্ছেতেই হবে এবার কৃত্রিম সূর্যগ্রহণঃ ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির নতুন মিশন

সম্প্রতি ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ESA) একজোড়া নভোযান রওনা দিয়েছে পৃথিবীর কক্ষপথের দিকে।  এদের মূল উদ্দ্যেশ্য সূর্যের করোনামণ্ডল (Corona) নিয়ে গবেষণা করা হলেও এদের ব্যবহার করা যাবে বিজ্ঞানীদের ইচ্ছেমত “সূর্যগ্রহণ” ঘটানোর কাজে।  এমনটাই জানিয়েছেন এই মিশনের গবেষক আন্দ্রেই জুকভ (Andrei Zhukov)। বর্তমানে আন্দ্রেই বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত রয়েল অবজারভেটরিতে সোলার ফিজিসিস্ট (Solar Physist) হিসেবে কর্মরত আছেন।  এই মিশনের নাম দেয়া হয়েছে Proba-3। বিজ্ঞানীদের নির্দেশে এই জোড়া নভোযানের একটি আরেকটির ওপর এমনভাবে অবস্থান করবে , যাতে করে সূর্য থেকে আসা আলো পুরোপুরি ঢেকে যায়। আর এভাবেই ঘটানো সম্ভব হবে মানব ইতিহাসের সর্বপ্রথম কৃত্রিম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।  তবে আপনি আমি পৃথিবীতে বসে এই সূর্যগ্রহণ দেখতে পাবো না এই কৃত্রিম সূর্যগ্রহণের ফলে বিজ্ঞানীরা তীব্র আলোর বাঁধা ছাড়াই সূর্যের করোনামণ্ডলের মাঝের অংশ নিয়ে গবেষণা করতে পারবেন। তারা আশা করছেন এর ফলে গবেষকেরা সূর্যের নানা অজানা আর চমকপ্রদ রহস্যের সমাধান করতে চলেছেন। এসব রহস্যের মধ্যে রয়েছেঃ  সোলার উইন্ড (Solar Wind) বা সৌর ...