Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2025

১.৬ লাখ বছর পর পৃথিবীর আকাশে ফিরে এল ধূমকেতুঃ C/2024 G3 অ্যাটলাস

অতি সম্প্রতি আমাদের দেখা দিয়ে গেল আমাদের সৌরজগতের মহাকাশের অন্যতম উজ্জ্বল এক সদস্য।  ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২০ বছরের মধ্যে যতগুলো ধূমকেতু দেখা যাবে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল হচ্ছে C/2024 G3 অ্যাটলাস নামের এই ধূমকেতু। তবে সবচাইতে অবাক করা বিষয়টি হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে পরিচিত হ্যালির ধূমকেতুর মত এই ধূমকেতু কিন্তু ৭৬ বছর পর পর ফিরে আসে না।  সূর্যের চারদিকে নিজের কক্ষপথে একবার পুরোটা ঘুরে আসতে এই অ্যাটলাস ধূমকেতুর সময় লাগে দেড় লাখ বছরেরও বেশি সময়। হ্যা, আপনি ঠিকই দেখছেন C/2024 G3 অ্যাটলাস ধূমকেতু প্রতি ১ লাখ ৬০ হাজার বছর পর পর একবার করে পৃথিবীর আকাশে দৃশ্যমান হয়। চলুন দেখে নেয়া যাক বিস্তারিত। এই C/2024 G3 ধূমকেতু সর্বপ্রথম আমাদের নজরে আসে গত বছরের (২০২৪) এপ্রিলে, আমাদের নাসা নিয়ন্ত্রিত মহাজাগতিক বস্তুর ওপর নজরদারী করা রোবট অ্যাটলাসের ( Asteroid Terrestrial-impact Last Alert System - ATLAS ) মাধ্যমে।  ফলে, ধূমকেতুটার নাম দেয়া হয় C/2024 G3 অ্যাটলাস বিজ্ঞানীরা ধূমকেতুর কক্ষপথ গবেষণা করে বের করেছিলেন যে এই ধূমকেতু জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে সূর্যের খুব কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে। এই সময়ে...

পৃথিবীর সবচেয়ে মারাত্মক যুদ্ধ

একটা যুদ্ধ চলছে, যুদ্ধ। কোটি কোটি বছর ধরেই চলছে। এ যুদ্ধ এতোটাই ভয়াবহ যে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়নে মারা যাচ্ছে প্রতিদিন।  পৃথিবীর ইতিহাসে এমন তীব্র আর ভয়াবহ যুদ্ধ আর কখনোই দেখা যায় নি।  কিন্তু আমরা মানুষেরা কিন্তু এই যুদ্ধের কিছুই টের পাচ্ছি না। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন, এই যুদ্ধ করছেটা কারা?   ইজরায়েল হামাস রাশিয়া না ইউক্রেন? আর কেনইবা করছে? তাই না? সঠিক উত্তর হচ্ছে, এদের কেউই না। আজ আমরা জানবো এই পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তির পর থেকেই চলে আসা লাগাতার সেই যুদ্ধ ও তার ফলাফল নিয়ে। তবে চলুন, শুরু করা যাক। এই যুদ্ধ করছে আমাদের গ্রহের সবচেয়ে মারাত্মক সত্ত্বাটি। নাম তার  ব্যাক্টেরিওফেজ (Bacteriophage) , ছোট করে যাকে আমরা ফেজ/ফাজ (Phage) বলে ডাকি। তো এই ফেজ/ফাজ আসলে কি? আসলে ফেজ/ফাজ হচ্ছে ভাইরাস। জড় আর জীবের মাঝামাঝি এক স্বত্বা। এরা পুরোপুরি জীবিতও না, আবার পুরোপুরি মৃতও না।  এদের মাথাটা একটু অদ্ভুত আকারের।এই বিশেষ আকারটির নাম  “আইকোসাহেড্রন    (Icosahedron)” ।  এই আকারের বিশেষত্ব হচ্ছে এতে সব সময় ২০টা সারফেস আর ৩০টা কিনারা থাকবে। এই মাথার ভেতরেই ভাইরাসের যাবতী...

ময়না তদন্ত সিরিজ — পর্ব একঃ ফিজিক্স

এই সুবিশাল আর ভয়ংকর সুন্দর মহাবিশ্বের অগণিত রহস্য বের করার উপায়কে আমরা বিজ্ঞান হিসেবে জানি। সুতরাং এই অসীম মহাবিশ্বের মতই বিজ্ঞানের পরিধিও সুবিশাল।  আর এই বিজ্ঞানের অন্যতম স্তম্ভ হচ্ছে ফিজিক্স (Physics) বা পদার্থবিদ্যা।  আক্ষরিক ভাবে বলতে গেলে ফিজিক্স হচ্ছে নলেজ অফ ন্যাচার (Knowledge of Nature)  বা প্রকৃতি বিষয়ক জ্ঞান অতিক্ষুদ্র সাব-এটমিক পার্টিকেল (Sub-atomic Particle) থেকে শুরু করে নক্ষত্রখেকো ব্ল্যাক হোল , সব কিছু কিভাবে জন্ম নেয়, বেড়ে ওঠে, মহাবিশ্ব চষে বেড়ায়, আর শেষে মারা যায় —  এসব বুঝতে হলে আমাদের ফিজিক্সের শরণাপন্ন হতেই হয়। আমাদের সমাজে ফিজিক্স একটা ভীতির নাম। গাদা গাদা সমীকরণ মুখস্থ করে পাশ তো আমরা করি ঠিকই কিন্তু ফিজিক্সের আসল ম্যাজিক আজীবন আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে যায়। সেই অবস্থা পরিবর্তন করতেই  এ ক্ষুদ্র প্রয়াস বলতে পারেন। এখানে আমি সহজ ভাষায় ফিজিক্সের অন্তর্গত বিষয়গুলো নিয়ে খানিকটা আলাপ করবো। তবে চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক আমাদের এখন পর্যন্ত চেনাজানা ফিজিক্সের জগতকে আমরা মোটামুটি ৩ ভাগে ভাগ করতে পারি  ক্ল্যসিক্যাল ফিজিক্স (Classical P...